টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ক্লিনিক ব্যবসায়ী আনিছুর রহমানকে হত্যা করেছে ভাড়াটে খুনিরা। এর নেপথ্যে রয়েছে আনিছুরের স্ত্রী মুরছেনা বেগম। গ্রেফতার দুই ব্যক্তি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দিয়েছে। পরে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) আনিছুরের স্ত্রী মুরছেনা বেগমকে গ্রেফতার করে।
মুরছেনাকে রোববার টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি। শনিবার রাতে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
১৭ নভেম্বর দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নের হেরেম্বপাড়ার আনিছুর রহমানের (৫০) বস্তাবন্দি লাশ গ্রামের খালে পাওয়া যায়। তিনি লাউহাটি বাজারের জনসেবা ক্লিনিকের মালিক ছিলেন। পরদিন তার মেয়ে মারুফা আক্তার দেলদুয়ার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে দেলদুয়ার থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে এ বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডি পুলিশকে। টাঙ্গাইল সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. কুতুব উদ্দিন জানান, তদন্তের মাধ্যমে হত্যায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।
পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানা যায়। বুধবার বিকালে গাজীপুরের টঙ্গিবাজার এলাকা থেকে রিপন খানকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি লাউহাটি গ্রামের হেলাল খানের ছেলে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই রাতেই ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রাম থেকে আব্দুস সেলিম খান নামে অপর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত হাকিম খানের ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. সুজন মিয়া জানান, গ্রেফতার দুজনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আনিছুরকে হত্যার জন্য তার স্ত্রী মুরছেনা বেগম তাদের ভাড়া করেছিল বলে সিআইডি পুলিশকে জানায়। বৃহস্পতিবার দুজনকে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান সেলিম খানের এবং ফারজানা হাসানাত রিপন খানের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।