1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ অপরাহ্ন

চেয়ারম্যানের স্ত্রীর ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল ‘জ্বিনের বাদশা’ তিন ভাই!

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৫ জুন, ২০২১

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে জিনের বাদশা পরিচয়ে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তিন ভাই। অভিযোগ পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশের একটি দল জিনের বাদশা চক্রের সদস্য তিন সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার দেওলি শিবপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত তিন সহোদর হলেন- ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার দেওলি শিবপুর গ্রামের আব্দুর রবের তিন ছেলে মিন্টু মিয়া (৩৫), আলম মিয়া (২৭) ও মিজানুর রহমান (২২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড উদ্ধার করে পুলিশ।

আজ শনিবার আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মির্জাপুর থানার এএসআই মো. আবুল কালাম জানিয়েছেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬০) দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যাথায় ভুগছেন। গত ১৫ মার্চ রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে তিনি তার নিজ কক্ষে টিভি দেখছিলেন। এ সময় তিনি ডিস লাইনে ‘৪৩ ভিডিও চ্যানেল’ নামে স্থানীয় চ্যানেলে চিকিৎসার চটকদার বিজ্ঞাপন দেখেন। যোগাযোগের জন্য বিজ্ঞাপনের নিচে একাধিক মোবাইল নম্বর প্রদর্শন করা হয়। মনোয়ারা বেগম ওই নম্বরে যোগাযোগ করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে তার বিশ্বাস জন্মায়। বিবাদীরা জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে জ্বিনের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর কথা জানান। পরে প্রতারকরা কৌশলে মহিষ, নতুন কাপড় দেওয়ার অজুহাতে গত তিন মাসে বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হলে মনোয়ারা বেগমের ভাতিজী খালেদা আক্তার ২৩ মে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারক তিন সহোদরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি