ফুলবাড়িয়ায় বিভিন্ন এতিমখানায় পরিদর্শনের নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে কথিত পাঁচ সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। বাকতা ইউনিয়নের তালতলি এলাকায় জনতার হাতে আটকৃত সাদিয়া জান্নাত তমা, শাহাদত হোসেন আরিফ, শেখ রুবেল, মিনহাজ আহামেদ, কাউসার নামের পাঁচ প্রতারককে থানায় নিয়ে আসেন এসআই মুক্তাদির হাসান। এসময় তাদের ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকার জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তাদের বাড়ি জামালপুর, বরিশাল ও সাভারে। তারা অনলাইন জি বাংলা টিভির সাংবাদিক বলে পুলিশের কাছে পরিচয় দেন। গাজীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে থানা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
জানা গেছে, গত তিন যাবত প্রতারক চক্রটি একটি সাদা রঙে প্রাইভেটকার নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় যায়। এতিমখানাগুলোতে গিয়ে কোনটায় সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অডিটি টিম, আবার একটি অনলাইন টিভি’র সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন তারা।
গত সোমবার সন্তোষপুর এতিমখানায় গিয়ে অডিটের নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে আসেন।
গতকাল বুধবার বিকালে বাকতা ইউনিয়নের শ্রীপুর এতিমখানায় গিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে এতিমখানা কমিটির লোকজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান আ. মালেক সরকার ও সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসান কিবরিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তাদের প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ পায়। সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসান কিবরিয়া জানান, প্রতারক চক্রটি এতিমখানা পরিদর্শনের সময় গাড়িতে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকটি এতিমখানা থেকে প্রতরণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার জানান, আমার এতিমখানায় গিয়ে অডিটের নামে ১ লাখ টাকা টাকা দাবি করলে বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান প্রতারক চক্র আটকের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।