কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার একটি দোকানের ভেতর থেকে মহিউদ্দিন ভূঞা প্রবাল (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাতৃকা (প্রা.) হাসপাতালের মালিক হোসেন ভুঁইয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ভৈরব উপজেলার দুর্জয় মোড়ের সাকিল মটরস নামে একটি দোকানের সাটার ভেঙে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
পরে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহের পর রাত ১১টার দিকে মরদেহ থানায় আনা হয়। খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এতে জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছের বাহিনীটির সদস্যরা।
নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে প্রবাল মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বেড় হন। সন্ধ্যায় তার লাশ মিলে একটি দোকানের ভেতরে।
নিহতের বাবা ও ভাইয়ের দাবি, দোকান মালিক জিল্লুর ছেলে অন্তর প্রায়ই প্রবালের কাছ টাকা দাবি করতেন। টাকা না দিলেই তাকে মারধর করতেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রবালকে দুর্জয় মোড় থেকে অন্তরসহ কয়েকজন ধরে নিয়ে যান। পরে সর্দার হোটেলের পেছনে নিয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মরদেহ শাকিল মোটরসের অফিসে রেখে তালা দিয়ে পালিয়ে যান তারা।
স্থানীয়রা জানান, অন্তরকে রক্তমাখা জামা ও ধারালো অস্ত্র হাতে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন তারা। প্রবালকে অন্তরই হত্যা করে থাকতে পারেন। তবে কী কারণে প্রবালকে খুন করা হয়েছে তা কেউ বলতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, ‘আমরা জানতে পারি বিকেলে দুর্জয় মোড়ে একটি মারামারি হয়েছে। সে সূত্র ধরে আমরা একটি দোকানের সাটার ভেঙে একজন যুবকের মরদেহ দেখতে পাই। এ হত্যার সাথে অন্তরের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। অন্তরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।’