কিশোরীকে ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতে মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৫ জনকে আসামি করে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
সোমবার (৩১ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নথিভুক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি আব্দুল কাদির মিয়া।
আসামিরা হলেন- উপজেলার ৯নং উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, তার বড় ভাই স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, নিহত মেয়ের মা আছমা, চেয়ারম্যানের বডিগার্ড দুলাল মিয়া ও মাহাবুবুল আলম।
এর আগে, গত ২৩ মে (রোববার) জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মো. রাফিজুল ইসলামের কাছে মামলার আবেদন করেন নিহতের পিতা স্বপন মিয়া।
পরদিন ২৪ মে (সোমবার) মামলাটি আমলে নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশকে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছিলেন ময়মনসিংহ জেলা ও জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাড. মকবুল হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান শফিক ভিকটিমকে তার মায়ের মৌন সম্মতিতে মিথ্যা বিবাহের প্রলোভনে টানা ধর্ষণে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এতে আসামিরা বিপাকে পড়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই কিশোরীকে কবিরাজী ওষুধ সেবন করান।
এতে ভিকটিমের ব্যাপক রক্তক্ষরণ হলে গত ৯ মে কিশোরীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করে। কিন্তু আসামিরা ভিকটিমকে ঢাকায় না নিয়ে বাড়িতে গোপন করে রাখলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকলে গত ১১ মে ভিকটিমকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত ১২ মে রাত ২টার দিকে কিশোরীর মৃত্যু হয়।
ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য গোপনে উপজেলার ইসলামপুর মাদরাসায় কিশোরীর দাফন করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।
পরে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পেরে ভিকটিমের পিতা স্বপন বাদি হয়ে জেলা নারী ও শিশু আদালতে এ মামলা দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী।