নেত্রকোনার আটপাড়ায় এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরীকে বিয়ে, নগদ টাকা ও জায়গা লিখে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন ওই বৃদ্ধ।
অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধের নাম মো. ইউনুছ খান (৬০)। তিনি স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ঘটনাটি জানাজানির পর তিনি পলাতক।
পুলিশ, ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীদের ফ্রিজ না থাকায় প্রতিবেশী ইউনুছের ঘরে মাছ ও মাংস রাখতো। বেশিরভাগ সময় মেয়েটি ফ্রিজে মাছ-মাংস আনা-নেয়ার কাজ করতো। ওই কিশোরীকে একদিন ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন বৃদ্ধ। এরপর বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। বর্তমানে মেয়েটি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত কয়েক দিন আগে মেয়েটির পরিবার তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে জিজ্ঞাসা করলে সে বিষয়টি জানিয়ে দেয়।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ইউনুছ খান মেয়েটির পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলার প্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে ইউনুছ গ্রামের মাতব্বরদের নিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করার প্রস্তাবসহ নগদ কিছু টাকা ও জমি লিখে দেয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু মেয়েটি এতেও রাজি না হলে তিনি গা ঢাকা দেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউনুছ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবাল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’