1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

দেওয়ানগঞ্জে যমুনার ভাঙনের মুখে গুচ্ছগ্রামের ১৩০টি ঘর

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে স্থাপিত দুটি গুচ্ছগ্রামের ১৩০টি ঘর যমুনা নদীর ভাঙনের মুখে পতিত হয়েছে। যমুনা নদী থেকে মাত্র ১৫০ ফুট দূরত্বের এসব ঘর আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া গত কয়েক দিনের তীব্র ভাঙনে এ অঞ্চলের ৩৫০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের দুর্গম যমুনার চরাঞ্চল চরহলকা হাবড়াবাড়ি টিনের চরের ২ নম্বর এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১২০০ লোকের বাস। তার ভেতর সরকার গুচ্ছগ্রাম করে হাবড়াবাড়ি ২-তে ৬০টি এবং চর হরিণধরায় ৭০টি ঘর বরাদ্দ দিয়েছিল। গত কয়েক বছরে গাছপালা লাগিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। যমুনার করাল গ্রাসে নিজেদের ভিটামাটি, জমাজমি- সব কিছু হারিয়ে সরকারের বরাদ্দ করা গুচ্ছগ্রামের একটি ছোট্ট ঘরে নিজেদের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল যমুনাপারের চরাঞ্চলের এসব খেটে খাওয়া মানুষ। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে গুচ্ছগ্রামের ১৩০টি ঘর হুমকির মুখে পড়েছে। চলমান নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই গুচ্ছগ্রামের ১৩০টি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

স্থানীয় কিছু এলাকাবাসীর দাবি, ইতিপূর্বে এই জায়গায় কোনো নদীভাঙন ছিল না। হঠাৎ কেন এত ভাঙন শুরু হলো এটি তাদের বোধগম্য নয়। তাদের দাবি- গুচ্ছগ্রামের এইসব ঘর ভাঙনের আগেই যেন অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

ওই গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা বরকত আলী (৪৫) হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ভিটামাটি সব কিছু হারিয়ে সরকারের দেওয়া এই ছোট্ট ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলাম, এটিও যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে, আমাদের বেঁচে থাকার আর কোনো উপায় থাকবে না।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান সেলিম খান জানান, গত কয়েক দিনের তীব্র নদীভাঙনে ৩৫০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, দুটি গুচ্ছগ্রামের ১৩০টি ঘর এখন হুমকির মুখে। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এসব পরিবার উদ্বাস্তু হয়ে পড়বে। তিনি এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

চলতি মাসের ২৫ তারিখে যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার দুটি গুচ্ছগ্রাম পরিদর্শন করেন দেওয়ানগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান। যমুনা নদীতীরবর্তী এলাকার ভাঙনও পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হাসান, চুকাইবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রাসেদুজ্জামান সেলিম খান, উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন, কালের কণ্ঠ’র দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ।

সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, বিষয়টি লিখিত এবং মৌখিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা যেন ঘরগুলো স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতামতের ভিত্তিতে ঘরগুলো অন্য এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে সরকারের অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি