1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

গফরগাঁওয়ে ব্লক টিচিং পাঠদানে উৎসবের আনন্দ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মহামারী করোনা সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে অন্তবর্তীকালীন ব্লক টিচিং পদ্ধতির শিক্ষাদান কার্যক্রমে কোমলমতি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের আনন্দ এনে দিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয় বন্ধের পর নতুন পদ্ধতিতে বাড়ির পাশের খোলা মাঠ, গাছের ছায়া, উঠান বা বাগানে বসে পড়ালেখার সুযোগ পেয়ে প্রতিটি শিশু যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বিষয়টি শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ জনিত কারণে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে বিকল্প হিসেবে বিটিভি ও অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা কিছুটা উপকৃত হলেও তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছিল। এ অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অন্তবর্তীকালীন পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা দেয়। সেই নির্দেশনার আলোকে ব্লক টিচিং পদ্ধতির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ভাগে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাছাকাছি খোলা মাঠ, গাছের ছায়া, বাড়ির উঠান বা বাগানে মাদুর-পাটি বিছিয়ে শিক্ষাদান করা হয়। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে। উপজেলায় ২৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত রবিবার থেকে ব্লক টিচিং পদ্ধতিতে পাঠদান শুরু হয়েছে।

পাইথল সরকারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য মন বিষন্ন ছিল। ব্লক টিচিং প্রক্রিয়ায় খোলা মাঠে গাছের ছায়ায় পড়িয়ে খুবই ভালো লাগছে। কলকাকলী ও উচ্ছলতায় ওরাও আনন্দের সাথে পড়ালেখায় মেতে উঠছে। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালার রহমতে করোনা মহামারী যেন দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং আমরা বিদ্যালয়ে বসে পাঠদান করতে পারি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সালমা আক্তার বলেন, গ্রামের যেসব শিক্ষার্থী অনলাইন পাঠ কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হয়ে ঝড়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ব্লক টিচিং পদ্ধতি মূলত তাদের জন্যই। তবে সকল বিদ্যালয়ে ব্লক টিচিং পদ্ধতি চালু হওয়ায় সব শিক্ষার্থীই এর আওতায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি