ময়মনসিংহের পাগলা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুরি যাওয়া সিএনজি গাড়ির ক্রেতা সেজে চোর চক্রের সাত সদস্যসহ আট জনকে আটক করেছে। এ সময় দুটি চোরাইকৃত সিএনজি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার আটককৃদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দিয়ে ময়মনসিংহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৩ মে) রাতে উপজেলার বারইগাঁও গ্রামের মো. ইলিয়াজ আলীর বাড়ির গ্যারেজ থেকে একটি সিএনজিচালিত গাড়ি চুরি যায়। পরদিন ইলিয়াজ আলী পাগলা থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধান শুরু করেন। সোমবার পুলিশ গোপনে সংবাদ পান পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলার নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামে একটি সিএনজিচালিত গাড়ি বিক্রয় হবে। সে অনুযায়ী পুলিশের একটি দল সিএনজি গাড়ির ক্রেতা হিসাবে শ্রীপুর উপজেলার নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রাম থেকে চোর চক্রের সদস্য মাসুম মিয়া ও সোহেল মিয়াকে চোরাইকৃত সিএনজিসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আটক দুজনের ভাষ্য অনুযায়ী সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের অপর পাঁচ সদস্যকে আটক করেন। এ সময় পুলিশ আরো একটি চোরাই সিএনজি উদ্ধার করেন। সিএনজি চোর চক্রের আটক সাত সদস্য হলো উপজেলার কন্যা মন্ডল গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩২), ষোলহাসিয়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৩), রৌহা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মাসুম মিয়া (১৯), কান্দিপাড়া গ্রামের ফালান সিং এর ছেলে অনিক (১৯), বারইগাঁও গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে সজিব (২০), বিরই গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে সম্রাট (২০), মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে শাকিল (২১)।
অন্যদিকে সোমবার বিকালে উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের খুরশিদ মহল এলাকা থেকে জনৈক মনির আলীর একটি মোটরসাইকেল চুরি যায়। এ ঘটনায় পাগলা থানা পুলিশ সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রাম থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলসহ সৌরভ দে((২৩) নামে এক চোরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পাগলা থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, পৃথক অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের ৮ জনকে আটকসহ দুটি সিএনজি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পাগলা থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি মামলা রয়েছে। গাড়ি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটককৃতদের ময়মনসিংহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।