কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জমি লিখে না দেওয়ায় পিতা উসমান গণিকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে। গত শনিবার উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামে এঘটনা ঘটলেও এর বিচার চেয়ে আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উসমান গণি। আহত উসমান গণি পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমি লিখে দিতে দীর্ঘদিন ধরে পিতাকে চাপ দিয়ে আসছে রিপন মিয়া। জমি লিখে না দেওয়ায় প্রায়ই রিপন মিয়া পিতাকে মারধর করত। এনিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিস-দরবার করেও কোনো প্রতিকার পায়নি উসমান গণি। এর জেরে গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে ফের জমি লিখে দেওয়ার জন্য পিতাকে চাপ দেয়। জমি লিখে দিতে অস্বীকার করায় অকথ্য গালাগালসহ পিতাকে লাঠি দিয়ে বেদম পেটায়। একপর্যায়ে বল্লম দিয়ে পিতার কপালে আঘাত করে রিপন মিয়া। এতে উসমান গণি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী উসমান গণিকে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
উসমান গণি বলেন, রিপন মিয়া ঢাকায় থাকত। সেখানে এক মেয়েকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে এসে তার নামে জমি লিখে দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দেয়। জমি লিখে না দেওয়ায় সে আমাকে প্রায়ই মারধর করে আসছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত রিপন মিয়া পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) এ কে এম লুৎফর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অভিযোগটি থানায় পাঠানো হয়েছে।