করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় এবারও ঈদের জামাত হচ্ছে না। সরকারি সিদ্ধান্তে ঈদের জামাত না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ–জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতিও। সোমবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে উন্মুক্ত স্থানে বড় জমায়েত পরিহার করার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা আছে। এ অবস্থায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শোলাকিয়ায় এবার বড় পরিসরে ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য জামাত হবে না। এর পরিবর্তে শহরের বিভিন্ন মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে একাধিক ঈদ-জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগেও গত বছর করোনা মহামারির কারণে ঐতিহাসিক এই ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
১৮২৮ সালে শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। এরপর এ মাঠের নাম ‘সোয়া লাখিয়া’ হয়ে যায়। পরে মাঠটি শোলাকিয়া নামেই পরিচিত হয়ে যায় বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
প্রতিবছর দূরদূরান্তের জেলার পাশাপাশি বিদেশ থেকেও মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে এখানে জড়ো হয়ে থাকেন। তবে ২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের দিন মাঠের কাছে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় ওই বছর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে স্বল্প পরিসরে ঈদুল আজহার নামাজের জামাত হয়েছিল। পরের বছর থেকে স্বাভাবিকভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল, যা গত বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। শোলাকিয়া মাঠে এই প্রথম পরপর দুই বছর কোনো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।