কথা না শোনায় হেলপারকে বকা দেন ওস্তাদ (চালক)। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগ বুঝে ট্রাকটি নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় হেলপার। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান যখন পাচ্ছিল না তখন ফোন করে হেলপার জানায় ট্রাকের কোনো ক্ষতি হয়নি শুধু একটি চাকা বিক্রি করা হয়েছে। পরে স্থানের নাম বলে দেওয়ায় একদিন পর আজ মঙ্গলবার ট্রাকটি পাওয়া যায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মাওনা নামক বাসস্ট্যান্ডে।
জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে একটি মালবোঝাই ট্রাক আসে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চৌরাস্তা এলাকায়। সেখানে মালামাল নামিয়ে চালক ট্রাকে হেলপারকে রেখে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। এসে দেখেন হেলপারসহ ট্রাকটি উধাও। আশপাশসহ অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাচ্ছিলেন না।
চালক আবুল কাশেম জানান, তিনি ট্রাকটি মাগুরা জেলার শ্রীপুর এলাকা থেকে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে হেলপার ছিল উজ্জল মিয়া। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার ভাটিরপাড় এলাকায়। গত ১৮ দিন ধরে তাঁর সঙ্গে ট্রাকে উঠেছে। চালক কাশেম আরো জানান, গত কয়েকদিন ধরে হেলপার উজ্জল প্রয়োজন মতো তাঁর কোনো কথাই শুনতো না। এই জন্য মাঝে মধ্যে বকা দিতেন।
গত সোমবারও নান্দাইল আসার পর ট্রাকে ঘুমিয়ে পড়ায় উত্তেজিত হয়ে বকাঝকা করেন। এতে সে চাকরি করবে না বলে হুমকি দেয়। পরে মাল আনলোড করে কিছুটা বিশ্রামসহ আনুষাঙ্গিক কাজ সেরে পাশের একটি ট্রান্সপোর্ট সেন্টার থেকে সিরিয়াল নিতে যান। কিছুক্ষণ পর ট্রাকের কাছে এসে দেখেন ট্রাকটি নেই।
এ অবস্থায় হেলপারের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। তখনি সন্দেহ হয় সেই ট্রাক নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে থানায় গিয়ে ঘটনা জানানো হয়। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর উজ্জল হঠাৎ ফোন করে জানায় রাগে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ট্রাকটি নিয়ে চলে এসেছে মাওনা এলাকায়। ট্রাকটি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ অবস্থায় রাতেই তিনি নান্দাইল থেকে ওই স্থানে গিয়ে ট্রাকটি পেলেও ট্রাকের ভেতর থাকা প্রায় আট হাজার টাকা ও একটি অতিরিক্ত চাকা পাওয়া যায়নি।