জামালপুরে চলন্ত ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের মাঠ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনের (৩৫) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে জামালপুর-টাঙ্গাইল সড়কের টিউবওয়েলপাড় মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদাত হোসেন জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপুর পশ্চিম মুসলিমাবাদ গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শাহাদাত হোসেন জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের ছোনটিয়া বাজার শাখা পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনে মাঠ কর্মকর্তা পদে চাকরি করতেন। শনিবার বিকেলে তার অফিসের কাজ শেষে মোটরসাইকেলে জামালপুর শহরের শেখেরভিটায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে জামালপুর-টাঙ্গাইল সড়কের টিউবওয়েলপাড় মোড়ে চলন্ত একটি ট্রাক তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘাতক ট্রাকটিকে জব্দ করেছে পুলিশ। ট্রাকের চালক ও সাহায্যকারী পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ শাহাদাতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, চলমান লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের নির্দেশে জেলা অফিসসহ সবগুলো শাখা অফিস খোলা রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ করানো হচ্ছিল। নিহত শাহাদাত হোসেন শনিবার ছোনটিয়া বাজার শাখা অফিসে কাজ শেষে বিকেলে বাসায় ফিরছিলেন।
তবে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন জামালপুর জেলা অফিসের উপ-পরিচালক শেখ মো. আবুল বাশার অফিস খোলা রাখার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি শুনেছি যে আমাদের মাঠ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। লকডাউনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু রেখে আমরা করোনার প্রণোদনার তালিকা সংক্রান্ত কিছু কাজ চালিয়ে যাচ্ছি একথা ঠিক। কিন্তু শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জেলা অফিস ও সব শাখা বন্ধ থাকে। আজকে যে কেন শাহাদাত তার অফিসে গিয়েছিলেন তা আমি বলতে পারছি না।
জামালপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন রাত ১১টায় কালের কণ্ঠকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শাহাদাত হোসেনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। রাতেই মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহত শাহাদাতের পিতা মো. হাবিবুর রহমান থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের চালক ও সাহায্যকারী পলাতক রয়েছে। তাদেরকে আটক করার চেষ্টা চলছে।