শিশু নাজমুলের (৬) সঙ্গে দুষ্টুমিতে জড়ান এক বৃদ্ধ। একপর্যায়ে নাজমুলকে ধাওয়া করে ধরে গরুর রশির সঙ্গে দুই হাত বেঁধে দেন তিনি। পরে পিচের রাস্তায় গরু ছেড়ে দেন। এতে গরু দৌড় দিলে নাজমুল রাস্তায় পড়ে যায়। আর গরু তাকে নিয়ে যায় টেনেহিঁচড়ে। ফলে নাজমুলের পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিলে যায়। এমন এক অমানবিক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের মিয়ারগাঁও গ্রামের শওকত আলীর (৫০) বিরুদ্ধে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত নামজুল মিয়ারগাঁও গ্রামের মৃত আলম মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত শওকত আলী একই গ্রামের মৃত রওশন আলীর ছেলে।
আজ শনিবার সকালে তাকে নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা ফেসবুকে লাইভ করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এ সময় শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাজমুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। পাশাপাশি তাকে খাদ্যসামগ্রী ও ফলমূল কিনে দেন।
নাজমুলের পরিবার জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় নাজমুলের সঙ্গে দুষ্টুমিতে জড়ান শওকত আলী। একপর্যায়ে নাজমুলকে ধাওয়া করে ধরে গরুর রশির সঙ্গে দুই হাত বেঁধে পিচের রাস্তায় গরু ছেড়ে দেন। এতে গরু দৌড় দিলে নাজমুল রাস্তায় পড়ে যায়। তখন গরু তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। ফলে পেটের অংশের বেশ কিছু জায়গা ছিলে যায়।
মুঠোফোনে কথা হয় নাজমুলের ফুফাতো বোন সুমি আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা এটার বিচার চাই। একটা বাচ্চা ছেলের সঙ্গে কেউ এ রকম করতে পারে না। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি আমরা।
এ ব্যাপারে শিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। ইতিমধ্যে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অভিযুক্ত শওকত আলীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর স্থানীয়দের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কবিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এটা নিয়ে কাজ করছে। তা ছাড়া ছেলেটি অসহায়, এই বিবেচনায় তাকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রীসহ তার চিকিৎসার ব্যয়ভার আমি নিয়েছি।