কিশোরগঞ্জে লটারির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হয়েছে। তবে এখনো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
জেলা খাদ্য বিভাগে সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার ১৩টি উপজেলায় ১০৮০ টাকা মণ দরে ২৩ হাজার ৩৪৬ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি উপজেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে এবং বাকি উপজেলায় লটারির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।
তবে এখনও কৃষকদের হালনাগাদ তালিকা শেষ হয়নি। জেলা খাদ্য বিভাগের দাবি গত বছরের তালিকা হালনাগাদ করে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সব উপজেলায় ধান কেনা শুরু হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইদুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ সদর, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী ও ভৈরবে অ্যাপসের মাধ্যমে নাম নিবন্ধন করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। আগামী ১০ মে পর্যন্ত নাম নিবন্ধন করা হবে। এরপরই পুরোপুরি ধান কেনা শুরু হবে। তবে অন্য উপজেলাগুলোতে লটারির মাধ্যমে ধান কেনা হবে। তাই ওইসব উপজেলায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ধান কেনা শুরু করা যাবে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি মো. শামীম আলম জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা শুরু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান কেনা হবে। নির্ধারিত সময়ে ধানকেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে বলেও আশ করেন তিনি।
এদিকে, বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা খাদ্য গুদাম এলাকায় সদর উপজেলার একজন কৃষকের কাছ থেকে এক মেট্রিক টন ধান কেনার মধ্য দিয়ে এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদির মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাগুফতা ইয়াসমিনসহ খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এবার জেলায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় পৌনে ১১ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হবে। এরই মধ্যে জেলায় ৭০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। অপর দিকে কিশোরগঞ্জে ১৩টি এলএসডি গুদামে ধারণ ক্ষমতা ২৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বর্তমানে খাদ্য মজুদ আছে ৫ হাজার ৬৩৭ মেট্রিক টন।