টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা সদরের তরমুজের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কৃষক তমিজ উদ্দিন। তরমুজ কিনছেন কিনা জিজ্ঞাসা করতেই বলে উঠলেন, ‘ভাই তরমুজ কিনমু কেমনে একটা মাঝারি ধরনের তরমুজ কিনতে ৫ শ টাকা লাগে। তরমুজের বাজার গরম এত টেহা পামু কই।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিভিন্ন বাজারে তরমুজের দাম এক লাফে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছর উপজেলা সদরের বিভিন্ন বাজারে তরমুজ বিক্রি হয়েছে পিস হিসেবে এবার বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। ওই সময় একটি বড় তরমুজ দেড় থেকে দুই শ টাকায় বিক্রি হতো। কিন্তু এ বছর শুরু থেকেই তরমুজের বাজার গরম। গত এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি তরমুজের দাম ছিল ২৫ টাকা আর এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। ক্রেতাদের অভিযোগ তরমুজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি হিসেবে বিক্রি করছে।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রমজানের শুরুতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হত। রমজানে ইফতারিতে তরমুজের বিশেষ চাহিদা থাকায় লকডাউনের কারণ দেখিয়ে হঠাৎ করেই দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় বিক্রেতারা।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ছোট আকারের ৫ কেজি ওজনের তরমুজ ৩ শত টাকা ১০ কেজি ওজনের তরমুজ ৬ শত থেকে ৭ শত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ফলে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া দিনমজুর ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা যেভাবে কিনে আনি সেভাবেই বিক্রি করি এখানে আমাদের কি করার আছে?
কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর বিধান অনুযায়ী, ফলের ক্ষেত্রে বিক্রেতা কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন। তবে তরমুজ বিক্রির ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। সেক্ষেত্রে বিক্রেতা প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবে ক্রয় করবে সেভাবেই বিক্রি করতে হবে। তাই পবিত্র রমজান মাসে তরমুজের লাগামহীন দাম টেনে ধরতে স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান পরিচালনার দাবি জানান ভোক্তারা।