কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে চাঞ্চল্যকর রিফাত মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নিহতের সৎ মা শিরিন আক্তার শরীফাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত ১৭ এপ্রিল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের চরতালজাঙ্গা (বাদুরতলা) গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে রিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। সে চরতালজাঙ্গা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে এবং চরতালজাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
রিফাত মিয়া খুনের ঘটনায় দুলাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী (রিফাত মিয়ার সৎ মা) শিরিন আক্তার শরীফাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান দুলাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী শিরিন আক্তার শরীফার রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল রাতে স্থানীয় মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যায় রিফাত। নামাজ পড়ে বাড়িতে এসে রাতের খাবার খায়। এরপর থেকে রিফাতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন ১৭ এপ্রিল সকালে বাড়ির সামনে একটি পাটক্ষেতে তার গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে রিফাত মিয়ার লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহতের মা নাজমা আক্তার এ খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার ইঙ্গিত করেন দুলাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী শিরিন আক্তার শরীফার দিকে। ১৭ এপ্রিল তিনি অভিযোগ করেন, ঘরের মানুষ ছাড়া এ ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়।
সুত্র জানায়, শিশুটির বাবা দুলাল মিয়ার দুই স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া কয়েক মাস আগে শিরিন আক্তার শরীফা নামের ওই নারীকে বিয়ে করেন দুলাল মিয়া। বিয়ের পর প্রথম স্ত্রী নাজমা আক্তার বাবার বাড়ি চলে গেলে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকত রিফাত মিয়াসহ তার অপর দুই ভাই। রিফাতের মা নাজমা আক্তারের বাবার বাড়ি শেরপুরে। চরতালজাঙ্গা গ্রামে তার এক বোনের বাড়ি রয়েছে।