নেত্রকোনার মদন উপজেলার উচিতপুর হাওরে ডুবে ১৮ জনের প্রাণহানির ঘটনায় নৌকার মালিক মো. লাহুত মিয়াকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার লাহুত মিয়া উপজেলার মদন ইউনিয়নের কুলিয়াটি গ্রামের নূরুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, উচিতপুর হাওরে নৌকাডুবে ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটায় পর্যটকবাহী ভাই ভাই ট্রলারের নামে ঢাকার স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নৌ আদালতে মামলা হয়। এতে নৌ পুলিশ নৌকার মালিক লাহুত মিয়া ও দুই মাঝিকে আসামি করেন। দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে পুলিশ নৌকার মালিক লাহুত মিয়াকে গ্রেফতার করে।
মদন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, নৌকার মালিক লাহুত মিয়ার নামে ওয়ারেন্ট থাকায় সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট মদন উপজেলার উচিতপুর হাওরে ময়মনসিংহ সদর ও গৌরীপুর উপজেলা হতে ৪৮ জন মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ভ্রমণের আসে। পরে লাহুত মিয়ার ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রা শুরু করে ২.৫ কিলোমিটার দূরে গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের রাজালীকান্দা নামক স্থানে পৌঁছালে আনুমানিক দুপুর ১২টায় নৌকা ডুবিতে ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটে।
তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ওই রাতেই গঠন করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউয়ের আঘাতে ১৮ জনের প্রাণহানির কারণ উল্লেখ করে ১৯ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি।