এ যেনো রীতিমতো যুদ্ধ। তরমুজের দাম নিয়ে নেট দুনিয়ায় চলছে আলোচনা সমালোচনা। পিস হিসেবে যে তরমুজ বিক্রি হতো সেই তরমুজ কেন কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। ময়মনসিংহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটিই এখন আলোচনার বিষয়বস্তু। এই আলোচনা সমালোচনার তর্ক যুদ্ধ নজরে এসেছে জেলা প্রশাসনের। ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে মাঠে নেমেছেন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
মঙ্গলবার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে তরমুজ বিক্রি, রশিদ সংরক্ষণ না করা ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করায় ময়মনসিংহে ১৪ ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর নতুন বাজার, স্টেশন রোড, চরপাড়া মোড় ও নান্দাইন উপজেলায় পৃথক অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক বলেন, ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি স্থানে তরমুজের বাজার মনিটরিং করা হয়। এ সময় দেখা যায় ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে তারপর এখানে কেজি দরে বিক্রয় করছে। এর মাধ্যমে তারা ভোক্তাদের কাছ অতিরিক্ত মূল্য নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন বাজার ও স্টেশন রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঈদুল ইসলাম। এসময় প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রি না করা ও ক্রয়-বিক্রয়ের মূল্য তালিকা দেখাতে না পারায় ৬ ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে, নগরীর চরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিক্রয়মূল্যের মধ্যে অসঙ্গতির কারণে এবং যথাযথভাবে বিক্রি না করায় ৩ ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন।
এছাড়াও নান্দাইল উপজেলার বাসস্ট্যান্ড বাজার ও চৌরাস্তা বাজারে তরমুজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ উদ্দিন। এসময় তরমুজ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় ও ক্রয় রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় কৃষি বিপণণ আইনে ৫টি মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের এ মনিটরিং অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক।
ভোক্তা অধিকার ও ভেজাল পণ্য বিরোধী আন্দোলন করা “আমরা হাতেগোনা কয়েকজন ময়মনসিংহ বাসী” সংগঠনের আহ্বায়ক নিয়ামুল কবির সজল বলেন ব্যাবসায়ীরা অতিরিক্ত টাকায় তরমুজ বিক্রি করছে যেখানে কৃষক তার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। একদিক দিয়ে কৃষক ঠকছে অন্য দিক দিয়ে ক্রেতারাও বেশি দাম দিয়ে কিনে ঠকছে। আর লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা। এসব বন্ধ হওয়া দরকার। আধুনিক বাজার ব্যবস্থাপনা না হলে অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হবে।