ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে অন্য শ্রেণি পেশার মতো স্বর্ণ ব্যবসায়ীদেরও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে করোনাআইরাস। করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় থেকে সংক্রমণের কারণে বিয়ে-সাদিসহ সামাজিক অনুষ্ঠানাদি অনারম্ভর ও তুলনামূলকভাবে হ্রাস পাওয়ায় স্বর্ণালংকারের ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। বেকার হয়ে পড়েছেন অধিকাংশ ক্ষুদ্র পেশাজীবী স্বর্ণ শিল্পী। ফলে অনেকেই অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহের পথ খুঁজছেন।
জানা যায়, গফরগাঁও পৌর শহরের জামতলা মোড়ের সোহরাব মার্কেট, সৈয়কত মার্কেট, মধ্য বাজার গোলন্দাজ মার্কেট, বেপারী মার্কেটসহ বিভিন্ন শপিংমল ও গ্রাম-গঞ্জের হাট বাজারে প্রায় ৬০টি স্বর্ণালংকারের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে উৎপাদন (প্রডাকশন) ও দৈনিক ভিত্তিতে শতাধিক স্বর্ণ শিল্পী কাজ করেন। কাজ না থাকলে তাদের কোনো আয়-রোজগার থাকে না। গত বছরের মার্চ মাস থেকে মহামারী করোনার কারণে সামাজিক অনুষ্ঠানাদি কমে যাওয়ায় স্বর্ণালংকার ব্যবসায় পড়েছে। তবে পরবর্তীতে করোনা সংক্রমণ কমে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকলে স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ীক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় পেশাটি মহা সংকটে পড়েছে। সরকারি নির্দেশনা ও লকডাউনের কারণে স্বর্ণালংকারের দোকানগুলো অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে। অল্প সময় খোলা রাখলেও লোকজন স্বর্ণালংকার তৈরি করতে আসেন না। আর কাজ না থাকায় স্বর্ণ শিল্পীদের অধিকাংশ বেকার হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ীদের পেশাগত সংকট পার করতে হচ্ছে।
গফরগাঁও স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনীল রায় বলেন, স্বর্ণ শিল্পী ও স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ীদের অনিশ্চিত সময় অতিক্রম করতে হচ্ছে। পেশা ত্যাগের শংকা না থাকলেও খুব কম থাকায় স্বর্ণ শিল্পীদের অনেকেই বেকার আর দোকান মালিকদের অলস সময় পার করা ছাড়া কিছুই করার নেই।