নেত্রকোনার মদনে প্রতিবেশীর ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে এক কিশোরী (১৩)। তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়েছেন কিশোরীর মা। মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আজিজুল (৪৫)। তিনি একই ইউনিয়নের আছেন আলীর ছেলে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বলেন, আজিজুলের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তিনি আমার কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। সালিশ করে এখন এ ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা চলছে। আমার মেয়ের সঙ্গে কেন এমন করা হলো, আমি এর ন্যায়বিচার চাই।’
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান মসরুম ইয়ার চৌধুরীর ছেলে মেহের চৌধুরী ও প্রতিবেশী সুজনের স্ত্রী পলি আক্তারসহ বেশ কয়েকজন এ প্রতিবেদককে বলেন, বুধবার (২১ এপ্রিল) ওই কিশোরীর শারীরিক গঠন দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে সে অন্তঃসত্ত্বা। সে ধর্ষক আজিজুলের নাম বলেছে।
জানতে চাইলে সালিশের মাতব্বর মসরুম ইয়ার চৌধুরী ও সেলিম বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টা নিয়ে কাল থেকে আলোচনা করছি। এক পর্যায়ে আজিজুল বিয়ে করার জন্য রাজি হয়েছে। বিয়ে দিলেই বিষয়টা মীমাংসা হয়ে যাবে।’
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দেওয়ান পাড়া গ্রামে ধর্ষণে এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনো আমাকে কেউ জানায়নি।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।