নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক যুবককে (২৮) অপহরণ করে তার ‘গোপনাঙ্গ’ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার (২১ এপ্রিল) ওই নারী (২৫), তার বাবা ও দুই ভাইসহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবকের বড়ভাই।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই যুবক মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। ওই নারী তার কাছে মোবাইল ঠিক করাতে আসার সূত্রে পরিচয়। এরপর থেকে প্রায় সময় ওই নারী নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিতেন। এতে রাজি না হলে বন্ধুদের কাছে নালিশ ও দেখে নেয়ার হুমকি দিতেন তিনি। একপর্যায়ে প্রায় এক বছর ওই নারীর মোবাইল ফোন ধরা থেকে বিরত থাকেন যুবক। দুই সপ্তাহ আগে ওই যুবক অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নলুয়াপাড়া চায়না মোড় ব্রিজের ওপর থেকে ওই নারী ও তার বাবা, দুই ভাই এবং অজ্ঞাত চারজন যুবককে ধরে গামছা দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে অটোরিকশা করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। একসময় যুবক চোখ খুলতেই ওই নারী বলেন ওঠেন, ‘আমাকে ভালো করে দেখে নে। আমাকে বিয়ে করলে তোর এ অবস্থা হতো না। এখন আমি তোর পুরুষত্বটা নিয়ে নেব। যাতে করে আর কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে না পারিস।’ পরে কোমর হতে ছুরি বের করে অন্যান্য অভিযুক্তদের সহায়তায় তাকে বিবস্ত্র করে ‘গোপনাঙ্গ’ কেটে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে জ্ঞান ফিরলে তিনি ফোনে পরিবারকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন।
পরে পরিবারের লোকজন চন্দ্রকোনার ব্রিজ সংলগ্ন বালুচর থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে ভিকটিমকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহনুর-এ আলম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আসামিদের ধরতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।