নেত্রকোনায় আদালতের নির্দেশে কবর থেকে দুলন আক্তার (২৩) নামের এক নারীর মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের দরুনবালী এলাকার একটি কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের দরুনবালী গ্রামের মৃত আলতু মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল কাইয়ুবের সঙ্গে ২০১৪ সালে বারহাট্টা নোয়াগাও গ্রামের মো. আজিজুল ইসলামের মেয়ে দুলন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দুলনের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন স্বামী কাইয়ুম। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারধর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এ অবস্থায় এক ছেলে সন্তান জন্ম দেয়ার ছয়দিন পর মারা যান দুলন আক্তার।
খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা দরুনবালী যান। পরে ওই গ্রামের একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ওই সময় নিহতের স্বজনরা থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। এদিকে একমাস পর ওই গৃহবধূর স্বামী আব্দুল কাইয়ুম কলমাকান্দা উপজেলার রুমা নামের একজনকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোরশেদা খানম জানান, নিহতের ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হলে গত ১২ এপ্রিল নিহতের মা আলোয়া আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুল কাইয়ুম, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা আক্তার এবং তার মা বেগম আক্তারকে আসামি করা হয়। মামলার পর আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, মামলা তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।