কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণের পাগলা ঘোড়া থামছেই না। নমুনা পরীক্ষার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সর্বশেষ রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে জেলায় নতুন করে ১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া নতুন করে ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ১৮ জনের মধ্যে অর্ধেকই শনাক্ত হয়েছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯ জন ছাড়া অন্য চার উপজেলায় বাকি ৯ জন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে তাড়াইল উপজেলায় ১ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১ জন, ভৈরব উপজেলায় ৬ জন এবং বাজিতপুর উপজেলায় ১ জন শনাক্ত হয়েছে।
মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে এই ১৮ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে হাসপাতালটির প্রি-আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ শনিবার (১৭ এপ্রিল) ও রোববার (১৮ এপ্রিল) সংগৃহীত মোট ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে হাসপাতালটিতে শনিবার (১৭ এপ্রিল) সংগৃহীত মোট ৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
এছাড়া তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শনিবার (১৭ এপ্রিল) ২ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্ট করে ১ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও সন্দেহজনক মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৩ জন যাদের মধ্যে ৮ জন আইসিইউতে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৩ জন ভর্তি হয়েছেন এবং ৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
নতুন সুস্থ হওয়া ২৫ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ জন, ভৈরব উপজেলার ১৩ জন এবং বাকি ৫ জন বাজিতপুর উপজেলার। এই সময় পর্যন্ত জেলায় মোট ৪৩১৯ জন শনাক্ত, ৩৮৩১ জন সুস্থ এবং ৭৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ৪১৩ জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতাল ও ৩৮৩ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। শনাক্ত, সুস্থ ও মৃত্যু সব সূচকেই জেলার মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শীর্ষে রয়েছে। এরপরেই রয়েছে ভৈরব উপজেলা।
বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মোট ৪১৩ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৯১, হোসেনপুর উপজেলায় ১২ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৭ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৭ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ২৭ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২৭ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১৬ জন, ভৈরব উপজেলায় ৭৫ জন, নিকলী উপজেলায় ২ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২৬ জন, ইটনা উপজেলায় ১ জন, মিঠামইন উপজেলায় ১৫ জন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৭ জন রয়েছেন।
এদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে রোববার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত মোট ৭৫ হাজার ৪৩৫ জন প্রথম ডোজ এবং গত ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৮৩২ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।