কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামের শেখ বাড়ির সঙ্গে লুন্দিয়া সিকদার বাড়ির মাজু মেম্বার গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।
এসময় শতাধিক বাড়িতে ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা ও কিশোরগঞ্জ থেকে পুলিশ এবং র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতরা হলেন, শেখ মুকবুল (৪০) ও শেখ খালেক মিয়ার ছেলে শেখ পাবেল (২৮)। আহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া গেছে, লুন্দিয়া এলাকার ধন মিয়ার ছেলে খাইরুল (৩৬), আবু তাহের মিয়ার ছেলে ইকবাল মিয়া (৩০), রউফ মিয়ার স্ত্রী বিপাশা (২৮), নিহত মকবুলের স্ত্রী শেফালি (৩০), শহিদ মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৪), ইদ্রিস মিয়ার ছেলে খাইরুল (২৪), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মুছা মিয়া (৪০), উসমান মিয়ার ছেলে শিবলী (৩৫), মজনি মিয়ার ছেলে কালা মিয়ার (৪৫)।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় নিহত হন শেখ মুকবুল নামের এক ব্যক্তি।
এ ঘটনার পর দুপুর ১২টায় লুন্দিয়া শেখ বাড়ির লোকজন পাগলার বাড়ির সঙ্গে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এসময় নিহত হন শেখ খালেক মিয়ার ছেলে শেখ পাবেল।
নিহত দুইজনই একই বংশের লোক। দু’গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল।
ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিক বলেন, দুই গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে দু’জন মারা যান।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।