কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণের ধারাবাহিক উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সর্বশেষ শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে জেলায় নতুন করে ১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে পাওয়া রিপোর্টে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে এর দ্বিগুণ শনাক্ত হয়েছে। মোট ১৩৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ১৮ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় নতুন করে মোট ১০ জন সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া সন্দেহজনক একজনের মৃত্যু হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে হাসপাতালটির প্রি-আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সংগৃহীত মোট ১০৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে হাসপাতালটিতে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সংগৃহীত মোট ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
এছাড়া তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ৩ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে ১ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি রোগীর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সন্দেহজনক একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে বর্তমানে আক্রান্ত ও সন্দেহজনক মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৯ জন যাদের মধ্যে ৮ জন আইসিইউতে রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৪ জন ভর্তি হয়েছেন এবং ৪ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
নতুন শনাক্ত হওয়া ১৮ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ২ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১ জন, ভৈরব উপজেলায় ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৩ জন এবং মিঠামইন উপজেলায় ২ জন শনাক্ত হয়েছেন।
নতুন সুস্থ হওয়া ১০ জনের মধ্যে তাড়াইল উপজেলার ১ জন এবং ভৈরব উপজেলার ৯ জন রয়েছেন। এই সময় পর্যন্ত জেলায় মোট ৪২৮৯ জন শনাক্ত, ৩৭৯৭ জন সুস্থ এবং ৭৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ৪১৯ জন। তাদের মধ্যে ২৭ জন হাসপাতাল ও ৩৯২ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
শনাক্ত, সুস্থ ও মৃত্যু সব সূচকেই জেলার মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শীর্ষে রয়েছে। এরপরেই রয়েছে ভৈরব উপজেলা।
বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মোট ৪১৯ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৮৭, হোসেনপুর উপজেলায় ১২ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৭ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৬ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ২৮ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২৭ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১৬ জন, ভৈরব উপজেলায় ৮২ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৩০ জন, ইটনা উপজেলায় ১ জন, মিঠামইন উপজেলায় ১৫ জন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৭ জন রয়েছেন।
এদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত মোট ৭৫ হাজার ১০৮ জন প্রথম ডোজ এবং গত ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ২১৮ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ছুটি থাকায় ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।