কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে ধান মাড়ানোর বোমা মেশিন মেরামতকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাস্তাইরপাড়া ও পালঙ্কহাটি দুই গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত আহত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বাইস্তারপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিন তার ধান মাড়ানোর বোমা মেশিন মেরামতের জন্য বাচ্চু মার্কেটে পালঙ্ক হাটি গ্রামের সাইফুলের ওয়ার্কশপে নিয়ে যায়।
মেশিনটির ঝালাই গিয়াস উদ্দিনের মনের মত না হওয়ায় উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওয়ার্কশপের মালিক সাইফুল তার সহযোগী নজরুলসহ গিয়াস উদ্দিনের উপর চড়াও হয়। তাকে মারধর করে।
মারধরের সংবাদ গিয়াস উদ্দিনের বাইস্তারপাড়া গ্রামে পৌঁছলে এলাকার লোকজন লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সাইফুলের গ্রাম পালঙ্ক হাটির দিকে ছুটে আসে। এতে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধে।
ঘন্টাব্যাপী ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় গিয়াস উদ্দিনের পক্ষের মোবারক, রুবেল, হাবিবুল্লাহ, রোকন, উসমানসহ প্রায় ২০-২৫ জন এবং সাইফুল গ্রুপের কাইমুদ্দিন, সেলিম, সাইফুল, মনিরসহ ২০-২৫ জন আহত হয়।
আহতদেরকে কটিয়াদী, নিকলী ও কিশোরগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত লস্কর পারভেজ বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় দুইপক্ষকে শান্ত করা হয়েছে।
কটিয়াদী থানার ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মারামারির সংবাদপেয়ে কটিয়াদী থানার পুলিশ, বাট্টা ও গচিহাটা তদন্ত কেন্দ্রের ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।
এ ব্যাপারে উভয় পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজাহার দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কাউকেই বেআইনী ভাবে মারামারি করতে দেয়া হবে না।