ফুলবাড়িয়া উপজেলার কাহালগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামের ৪২ দিন বয়সের এক শিশুসন্তান রেখে মা কুলসুম আক্তারকে (২২) হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ বুধবার সকালে বাড়ির পাশে লেবু বাগানে কুলসুম আক্তারের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মচিমহায় প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহত কুলসুমের বুকে আঘাতের চিহ্ন ও দুই হাটু মাটিতে লাগা থাকায় ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মন্তব্য করছেন অনেকে। এ ঘটনায় তার স্বামী হাসান আলীকে পুলিশ গ্রপ্তার করেছে।
জানা যায়, দুই বছর আগে হাসান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় কুলসুম আক্তারের। তাঁদের ঘরে ৪২ দিন বয়সের একমাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে। গত প্রায় আট মাস ধরে কুলসুমকে বাবার বাড়ি যেতে দেন না স্বামী। যৌতুকসহ এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাবার বাড়ি ভাবি কুলসুমকে নিতে আসলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। রাতে এ নিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
বড় ভাই আতাহার আলী বলেন, বোনকে আনতে ভাবিকে পাঠিয়েছিলাম, এরপরও দেয়নি। পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে হত্যা করে ধামাচাপা দিতে ফাঁসির ঘটনা সাজিয়েছেন স্বামীসহ তাঁর পরিবার।
এ ঘটনায় কুলসুমের আরেক ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. আজিজুর রহমান বলেন, হত্যা করে গাছে লাশ ঝুলানোর চেষ্টা করা হয়। গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যা মামলা হওয়ার পর নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।