রাতের আঁধারে তালাবদ্ধ ঘরে বড় স্কিনের ট্যাবলেট ফোনে (ট্যাব) বিশেষ ধরণের সফটওয়্যারে চলছে জুয়ার আসর। পাশেই জমা হচ্ছে টাকার স্তূপ। ট্যাবে সফটওয়্যারের ঘুরপাক থেমে গেলে শোনা যাচ্ছে কারো উচ্ছ্বাস, আবার কারও আর্তনাদ।
প্রতিরাতে ডিজিটাল জুয়ার এমন আসর বসে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে। জুয়ার পাশাপাশি চলে মাদক সেবনও।
ডিজিটাল এ জুয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠছে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা। ফলে জুয়ার টাকা যোগাতে বেচে নিচ্ছে অপরাধের পথ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলস্টেশনের পূর্বদিকে রেললাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা মাছ-সবজি বাজারের এলাকাটি ঘিরে গড়ে উঠেছে এসব ডিজিটাল জোয়ার আসর। এখানে রাত গভীর হলে বয়স্কদের পাশাপাশি ভিড় বাড়তে থাকে তরুণ-তরুণীদের। এ খেলায় প্রতিদিন নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরে অসংখ্য তরুণ-তরুণী।
জুয়ার খরচ জোগাতে অনেকে বেছে নেয় অপরাধের পথ। মোহনগঞ্জ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা জানায়, পৌরসভার সামনে রেললাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা মাছ-সবজি মার্কেটে দিনের বেলায় ঘরের দরজায় তালা মেরে ভেতরে বসে জুয়ার আসর। রাতে তো ওপেন চলে। সাথে বর্তমানে যোগ হয়েছে আইপিএল জুয়া। ধীরে ধীরে এ জুয়া ছড়িয়ে যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে।
জুয়ায় কম বয়সী ছেলে-মেয়েরাই বেশি। এখানে টাকা পয়সা খুইয়ে নিঃস্ব হয়ে এ সকল ছেলে মেয়ে নানা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। এখনি এসব বন্ধ না করলে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বেড়ে যাবে বলেও তাদের ধারনা।
সামাজিক সংগঠক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শুধু রাতে নয় দিনেও শহরের বিভিন্ন দোকানে বসে এমন জুয়ার আসর। ঘরের দরজায় বাহির থেকে তালা লাগিয়ে ভেতরে বসে জুয়া খেলে লোকজন। এমনকি চায়ের দোকানগুলোতে মোবাইল সফটওয়্যারের মাধ্যমে জুয়া খেলা হয়। পাশাপাশি আইপিএল নিয়ে তো জুয়া খেলা আছেই।
এ বিষয়টি অবগত করলে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান (ইউএনও) বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।