ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক কৃষকের ৪৪ শতক জমির ধান কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জমিতে ধান কেটে নেওয়ার দৃশ্য দেখা গেলেও কে কাটল তা খোঁজ করছে। এই রকমই জানিয়েছেন উপ পরিদর্শক সাইদুর রহমান। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, উপজেলার দরিপাঁচাশি গ্রামের আস্তুম আলী খা প্রায় ২৯ বছর আগে সিএ খতিয়ানের মালিক পবন সর্দারের একমাত্র ছেলে এসএ, আরএস, বিএস খতিয়ানের মালিক মফিজ উদ্দিনের কাছ থেকে ৮৮ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয় করেন। কিন্তু ২০২০ সালে এসে একই গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল কাদির ও তার লোকজন ওই জমি তাদের বলে দাবি করে বেশ কয়েকবার দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালান। বিষয়টি মীমাংসা করতে এলাকার গণ্যমান্য ও ইউনিয়নের পরিষদের মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে সালিশ দরবার করলেও তার সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আসে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভীন কাগজপত্র দেখে জমির মালিক আস্তুম আলী খার জমি বুঝিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষ আব্দুল কাদির গংদের জমিতে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু সেই নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে আব্দুল কাদির গংরা জমি দখলের চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় জমির মালিক আস্তুম আলী খা বাদি হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিশেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে আদালত অস্থায়ী নিশেধাজ্ঞা জারি করেন। এর মধ্যে জমির মালিক আস্তুম আলী খা ৪৪ শতক জমিতে বোরো ধান রোপণ করে পরিচর্যা করে আসছিলেন। কিন্তু গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে প্রতিপক্ষ আব্দুল কাদির গংরা ওই বোরো জমির আধাপাকা ধান কাটা শুরু করে।
এ খবরে পুলিশকে জানালে রাতেই ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, রাত দুটার পর একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষেতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে জমির অনেকটা অংশ ধান কাটা দৃশ্যমান পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে খোঁজ চলছে কে ধান কাটল। প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।