1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

গফরগাঁওয়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায়

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর মাধ্যমে ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘হাফাইল বিলের খাল পুনঃখনন/সংস্কার’ প্রকল্পে ৯ কিমি খাল পুনঃখনন করায় উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি বিলের প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে। এতে কৃষকরা ক্ষুদ্র সেচযন্ত্রের মাধ্যমে খাল থেকে জমিতে পানি নিয়ে একাধিক ফসল উৎপাদন করতে পারছেন। ফলে প্রকল্প এলাকায় কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর মাধ্যমে ‘হাফাইল বিলের খাল পুনঃখনন/সংস্কার’ প্রকল্পের আওতায় ৯ কি.মি খাল পুনঃ খনন করায় লংগাইর, গফরগাঁও ও মশাখালী ইউনিয়নের ১৪টি বিলের জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে।

গফরগাঁও ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামের হাফাইল বিল থেকে খালটি শুরু হয়ে ৬টি মৌজার উপর দিয়ে মশাখালী ইউনিয়নের বীর খারুয়া পর্যন্ত পুনঃখনন করা হয়েছে। যুক্ত হয়েছে হাফাইল বিল, টুরিয়ার বিল, চিনার বিল, নওলা বিল, ফকিরনির বিল, বগা বিল, তেল বিল, চৌবান্ধার বিল, ভাটিয়া বিল, খারুয়া বিল, কেন্নাবিল, কুড়ি বন, চাপর বন, আউট বাড়িয়া বিল বীর খারুয়া পর্যন্ত। এতে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা দূর হয়ে চাষাবাদের আওতায় এসেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা ক্ষুদ্র সেচযন্ত্রের মাধ্যমে (সেলু মেশিন) খাল থেকে পানি নিয়ে চাষাবাদ করতে পারছেন। তবে মার্চ মাসের দিকে খালের পানি শুকিয়ে যায়। তাই এই সময় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে খালে পানি উত্তোলন করা হলে চাষাবাদ নির্বিঘ্ন হতো।

ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলম খোকন বলেন, আমাদের নেতা সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের সহযোগিতায় এই খাল পুনঃখনন করা হয়েছে। কিন্তু খালটি শেষের দিকে শীলা নদী পর্যন্ত আরো ২ কিমি, কনহীর বিল পর্যন্ত ১ কিমি ও তালতলা বিল পর্যন্ত ১ কিমি সম্প্রসারণ করা হলে আরো অন্তত এক থেকে দেড় হাজার হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা দূর হয়ে চাষাবাদের আওতায় আসতো।

উপজেলা বিএসডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তানভীর হাসান বলেন, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি উত্তোলন করে খালে প্রবাহিত করার জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহাম্মদ বদরুল আলম বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদে পাম্প স্থাপন করে ২.৫ কিমি বারিড পাইপের মাধ্যমে পুনঃখননকৃত হাফাইল বিলে পানি সরবরাহ বিষয়টি নতুন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে গফরগাঁও ইউনিয়নের ৮০ ভাগ এই সেচ প্রকল্পের আওতায় আসবে এবং মশাখালী ও লংগাইর ইউনিয়নের ৪০ ভাগ জমিতে ভূ-উপরিস্থ পানি দিয়ে কৃষক সেচ দিতে পারবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি