দেশে করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশ লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। সোমবার থেকে সারাদেশের ন্যায় শেরপুরেও লকডাউনের দ্বিতীয় দিন পালিত হচ্ছে। কিন্তু লকডাউন অমান্য করে দোকানপাট খোলা ও মাস্ক ব্যবহার না করায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিভিন্ন দোকান পরিচালনা করা ও ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক না থাকায় ১৬টি মামলায় ৩৬শ ৫০টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার মিজানুর রহমান ও সাদিক আল শাফিন।
সহকারি কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে করোনা প্রতিরোধ করছি। এজন্য সচেতনতা জরুরি। করোনার সংক্রমন রোধে সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। মাস্ক ছাড়া কেউ বাহিরে বের হবেন না। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবেন না। আইন সবার জন্য সমান। তাই নিজে থেকে সচেতন হোন, পাশের জন্যকেও সচেতন হতে সহযোগিতা করুন। সবাই মিলে সচেতন হলে বাংলাদেশ থেকে করোনা হবে ইনশাআল্লাহ।’
এদিকে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের সব দোকান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট খুলেছে ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি শহরে স্বাভাবিকের চেয়েও ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলাচল বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে নির্মাণ শ্রমিকরা। তবে বন্ধ রয়েছে দূর পাল্লার যান চলাচল। এই সুযোগে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে ছোট ছোট যানবাহন। সরকারি, বে-সরকারি ও এনজিওগুলোর অফিস সীমিত পরিসরে খোলা রয়েছে। শহরের মধ্যে অতিরিক্ত ইজিবাইক থাকায় মাঝে মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।