ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার দিউ মহিলা কামিল মাদরাসার এক শিক্ষিকার আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। সুপরিচিতি এ শিক্ষিকার মৃত্যৃকে নিয়ে নানা রহস্য তৈরি হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় পৌর শহরের শিববাড়ী রোডের বাসা থেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যান তিনি। নিহত শিক্ষিকা ফুলপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক এমদাদুল হক সবুজের স্ত্রী ফুলপুর মহিলা কামিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষিকা নূরন্নাহার বেগম।
ফুলপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী শিক্ষক এমদাদুল হক সবুজ নিজ বিদ্যালয় থেকে বাসায় গিয়ে স্ত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা স্ত্রীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। স্বামী এমদাদুল হকের দাবি, স্ত্রী অভিমান করে বিষপান করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতসহ শরীর রক্তাক্ত করে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। তাদের পারিবারিক জীবনে কোনো সন্তান-সন্ততি না থাকায় প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। তাছাড়া শিক্ষক এমদাদুলকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শোনা যায়। এ কারণে মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে রবিবার সকালে অভিমান করে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিতে পারেন শিক্ষিকা নূরন্নাহার।
ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী জানান, লাশ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।