ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কিছু অংশ বিক্রি করেছেন এক ব্যক্তি। আর মহাসড়কের সেই অংশটি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণও নিয়েছে সেই জমির ক্রেতা। সম্প্রতি ঋণের টাকা বুঝে না পেয়ে মহাসড়কের ওই অংশ নিলামে তুলেছে সেই বেসরকারি ব্যাংক।
মহাসড়কের মালিক কিভাবে হলেন জানতে চাইলে আবুল হোসেন বলেন, তারা লেখলে আমি কি করব? আমি কি লেখছি অইডা? জরিপের কর্মকর্তারা কেমনে লেখছে হেরাই জানে।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে ৫৮২৫ নং খতিয়ানে মহাসড়কের ২৪ শতাংশ জমি আবুল হোসেনের নামে দেয় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর। যিনি দিয়েছিলেন সেই সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা হাজী ইউনুস আলী এখন অবসরে রয়েছেন। এ ঘটনা জানার পর তাৎক্ষনিক তদন্তে নামার সিদ্ধান্ত নেয় জরিপ অধিদফতর।
এ বিষয়ে সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মোমিনুর রশীদ জানান, আমরা এটা ইনকোয়ারিতে দিয়েছি। সেখানকার রিপোর্ট পাওয়ার পর যিনি রেকর্ড দিয়েছেন তার দোষ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা করার নির্দেশনা আছে।
তবে এরমধ্যে জমিটি হাতবদল হয়ে যায় দুইবার। গোলাম ফারুক নামের এক ব্যক্তি মহাসড়কের ওই অংশটি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নেন ১৫ কোটি টাকা।
কীভাবে কিনলেন এই মহাসড়ক সে প্রশ্নের জবাবে গোলাম ফারুক বলেন, বিশ্বাস করেন আমি দলিল কি, খাজনা কি এগুলাই বুঝতাম না। আমার আইনজীবি বলেছে কাগজপত্র স্বচ্ছ। এখন এটা এভাবে লুকানো হলে বুঝার কোনো উপায় আছে?
তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাই রাজি নন। আর এমন অবাক কাণ্ড দেখে বিস্মিত খোদ ভূমিমন্ত্রীও।
এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এটা একটা মারাত্বক বিষয়। এটা কীভাবে সম্ভব আমার মাথায় আসছে না। প্রয়োজনে এটা খতিয়ে দেখে দুদককে এর দায়িত্ব দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এদিকে মহাসড়কের জায়গা বুঝে না পেয়ে অন্য জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটডে।