কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বীজ, কীটনাশক ও সারের দোকানে অভিযান চালিয়ে নিম্নমানের কৃষিপণ্য রাখায় চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ভৈরব বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা এ অভিযান পরিচলনা করেন।
এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা আক্তার ও ভৈরব থানা পুলিশ সদস্য ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন।
এছাড়া মাস্ক না পরায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৮ জন পথচারীকে ৮শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে সার ও বীজ ফসল উৎপাদনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে ভৈরব থেকে বিভিন্ন বীজ, কীটনাশক ও সারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে ওই বীজ, কীটনাশক ও সার ঢাকার খামার বাড়ি ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
ল্যাবের পরীক্ষায় করলা, শশা, লাউ এর বীজ নিম্নমানের পাওয়া যায় এবং সারে যে পরিমাণ জিংক ও সালফার থাকার দরকার ছিল তা শূণ্যের কোটায় পাওয়া যায়।
ওই ফলাফলের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ভৈরব পৌর শহরের বাজার এলাকায় নিম্নমানের কৃষিপণ্য বিক্রির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় ভৈরব বীজ ভান্ডারের মালিক রমজান মিয়াকে ২০ হাজার টাকা, কৃষক বীজ ভান্ডারের মালিক শহীদ মিয়াকে ২৫ হাজার টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক পাওয়ায় কীটনাশকের দোকান ঘর পুষ্প এন্টারপ্রাইজ মালিক কামাল মিয়াকে ১০ হাজার টাকা ও কোহিনুর সারে সালফার ও জিংক এর পরিমাণ নিম্নমানের থাকায় ব্যবসায়ী শাওন মিয়াকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা বলেন, কোভিড-১৯ বাংলাদেশকে বিপদসীমার দিকে নিয়ে গেছে। এই বিপদসীমা থেকে উত্তরণের প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন কৃষক।
কৃষিনির্ভর এ দেশে কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে নিম্নমানের বীজ, কীটনাশক ও সারের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ভৈরবের চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও মাস্ক না পরায় ৮ পথচারীকে মোট ৮শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।