বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেরপুর জেলা শাখার সম্মেলন ও কাউন্সিল বুধবার (৩১ মার্চ) স্থানীয় পৌর টাউন হল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আগামী দুই বছরের জন্য ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি পদে আরিফুল ইসলাম নিশান, সাধারণ সম্পাদক পদে জসিম উদ্দিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আশিক মাহমুদ সিয়াদ নির্বাচিত হয়েছেন।
দুপুরে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রিয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম। এসময় তিনি ৬৬’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-র মুক্তিযুদ্ধ এবং বিভিন্ন সময়ে সামরিক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধি ও গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারে ছাত্র লীগের গৌরবোজ্জল ইতিহাস তুলে ধরেন। একই সাথে বর্তমানে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-বিএনপি, হেফাজতীদের ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আবারো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা জাসদ সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আবারো সক্রিয় হয়ে তান্ডবলীলা চালাচ্ছে। সাপের মুখে চুমু দেওয়ার পরিণাম সবসময়ই ভয়াবহ হয়। হেফাজতিদের প্রশ্রয় দিয়ে দিয়ে তাদেরকে মাথায় তোলা হয়েছে। জামায়াত-বিএনপি-হেফাজত একই সূত্রে গাঁথা। তাদের মোকাবেলায় একাত্তুরের চেতনায় আবারো ছাত্র লীগকে সোচ্চার হতে হবে।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম মান্নান- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নিশান। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সহ-সভাপতি বিপ্লব দে, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম. ছামেদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক কায়সার উদ্দিন আহমেদ এবং জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে বক্তারা শিক্ষায় বৈষম্যের অবসান করে একমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা, শিক্ষা শোষণ ও শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধ করা, ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, জঙ্গি ও জঙ্গির আশ্রয়দাতাদের মূলোৎপাটন করা এবং সংবিধান নির্দেশিত সমাজতন্ত্রের পথে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দাবী জানান।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের প্রস্তাব, সমর্থন এবং কণ্ঠভোটের মাধ্যমে বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নিশান সভাপতি, জসিম উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক এবং আশিক মাহমুদ সিয়াদ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ পরবর্তীতে বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করবেন।