জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের জমি অধিগ্রহণের খবরে অধিক টাকার লোভে তড়িঘড়ি করে ভবন নির্মাণ করছেন জমির মালিকরা।
স্থানীয়রা জানান, খালি জমির চেয়ে ভবনসহ জমি অধিগ্রহণের অধিক পরিমান টাকা পাওয়া যায়। যার ফলে ২০১৮ সাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের জমিগুলোতে দেদারছে ভবন নির্মাণ শুরু হয়। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য নিম্নমানের ইট-বালু-সিমেন্ট দিয়ে কাজ করে কোনোমতে অবকাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে ভবন মালিকরা।
তবে একাধিক ভবন মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। শিক্ষার্থীদের হল সংকট। তাই তাদের জন্য বড় মেস নির্মাণ করা হচ্ছে।’
রুবেল হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, তিন নম্বর ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় এসব জমি অধিগ্রহণ করবে জেনে এরকম কাজ করেছেন ভবন মালিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই এক ব্যক্তি ছয় কাঠা জমিতে কোনোরকমে কিছু দালান তুলেছেন। শুধু জমি থাকলে তিনি পেতেন ১ কোটি টাকা। কিন্তু এখন ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য দিক বিবেচনায় তিনি পাবেন প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (আইন) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এভাবে বাড়িঘর তৈরি শুধুমাত্র বেশি টাকার আশায়। এটাকে জমির উন্নতি সাধন বলা যায় না। দেশের আইনে এটা একটা অবৈধ কাজ।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দফতরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আপাতত জমি অধিগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা নেই। পরবর্তীতে জমি ক্রয় করলে বিশ্ববিদ্যালয় এই জমিগুলো নিবে না। এতে দৃষ্টিকটু দেখালে দেখাবে।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। যারা বিভিন্ন দালানকোঠা বানাচ্ছেন তারা কাজটা ঠিক করছেন না। তারা যাই করুক, পতিত জমির মূল্য অনুযায়ীই তারা মূল্য পাবেন। অতিরিক্ত কোনো মূল্য তাদের দেয়া হবে না।’
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায় কি না আমরা দেখবো।’