1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আসছে নতুন বৃষ্টিবলয়, কৃষকদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনেও সঙ্গে থাকার বার্তা জাপানের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ঢাকায় আসছেন ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে নামিয়ে ফেলা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’, ছাত্রদল কর্মীদের বেধড়ক পেটাল ছাত্রলীগ পাঁচ বিসিএসে নিয়োগ পাবে ১৮ হাজার ১৪৯ জন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিষয়ে নির্দেশনা আদালত দেবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সিইসি ও চার কমিশনার শপথ নিলেন সেইলরের ব্র‍্যান্ড এম্বাসেডর হলেন তারকা জুটি সিয়াম আহমেদ ও বিদ্যা সিনহা মিম মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেন চাকরি চাইতে গিয়েছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানা অর্ধেক জনবল দ্বারা পরিচালনা, উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা, জনসমাগম সীমিত করা, গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব সিদ্ধান্ত এখন থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে এবং আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কাউকাউস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো

১. সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ যেকোনো উপলক্ষে জনসমাগম সীমিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে উচ্চ সংক্রমণ এলাকায় জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকবে।

২. মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

৩. পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার হলে জনসমাগম সীমিত করতে হবে এবং সব ধরনের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করা হবে।

৪. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

৫. সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আন্তজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ করতে হবে।

৬. বিদেশফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী খোলা ও উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে হবে।

৮. স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

৯. শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।

১০. দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

১১. অপ্রয়োজনে রাত ১০টার পর ঘর থেকে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

১২. প্রয়োজনে বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাস্ক না পরলে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৩. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা করোনার লক্ষণ রয়েছে—এমন ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

১৪. জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ৫০ শতাংশ লোকবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা, অসুস্থ, ৫৫ বছরের অধিক বয়সী ব্যক্তিদের বাসায় থেকে কাজের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৫. সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজন করতে হবে।

১৬. সশরীরে উপস্থিত হতে হয়—এমন যেকোনো ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

১৭. হোটেল, রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক মানুষ প্রবেশ করতে পারবে।

১৮. কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবস্থানের পুরোটা সময়ই বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

আজ সোমবার হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেসব জায়গায় সংক্রমণ বেশি, সেসব জায়গায় আংশিক লকডাউনের জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘সংক্রমণ রোধে সরকারকে আমরা পরামর্শের একটি বড় তালিকা দিয়েছি। আমরা আশা করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দু-এক দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংক্রমণ আরও বাড়লে মৃত্যু বাড়বে, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হাসপাতালের যত শয্যা আছে, দেওয়া হয়েছে। আমরা চাইলেই রাতারাতি আইসিইউয়ের লোকবল বাড়াতে পারব না।’

সরকারকে কক্সবাজার, বান্দরবানের মতো বিনোদনমূলক জায়গাগুলো বন্ধ করা বা লোকসমাগম সীমিত করার পরামর্শও মন্ত্রণালয় দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

করোনাভাইরাসের টিকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ মাসের টিকা আমরা পাইনি। প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কেনা টিকার বিষয়ে বলেছেন। কোভ্যাক্সের টিকা পেতে মে-জুন মাস সময় লাগবে। টিকা পেতে দেরি হলে আমাদের অন্য পরিকল্পনা করতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি