ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মর্জিনা খাতুন (৭০) নামে এক অসহায় বড় বোনের বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার গভীর রাতে উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের দুগাছিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় গফরগাঁও থানা পুলিশ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাতে নুরু মিয়া নামে অভিযুক্ত পাষণ্ড ভাইকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের দুগাছিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী মর্জিনা বেগম প্রায় ২০ বছর যাবৎ প্রতিবেশী জনৈক ডা. মোশারফ হোসেনের ব্রহ্মপুত্র তীরে রাস্তার পাশের জমিতে খোপড়ি ঘর করে একাই বসবাস করছিলেন। মর্জিনার দুই সন্তান চাঁপাইনবাবগঞ্জ থাকে। তারা মায়ের ভরণপোষণ বা খোঁজ-খবর নেয় না। তাই মর্জিনা বেগম বাধ্য হয়ে ঝিয়ের কাজ করে অথবা ভিক্ষে করে জীবনযাপন করেন। কিন্তু মর্জিনা খাতুনের নেশাগ্রস্ত ও খারাপ প্রকৃতির ভাই নূরু মিয়া প্রায়ই বোনের ঘরে এসে নেশা করত।
মর্জিনা খাতুন বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার রাতে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে সম্পূর্ণ ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনা কাউকে জানালে পাষণ্ড নূরু মর্জিনা খাতুনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। মর্জিনা খাতুনের মাথা গুজার জায়গা না থাকায় এক প্রতিবেশীর বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু মর্জিনা খাতুনের নতুন করে ঘর করার সাধ্য নেই। নিরুপায় হয়ে মর্জিনা খাতুন গফরগাঁও থানায় এসে কান্নাকাটি করলে ওসি অনুকুল সরকার অভিযোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার রাতে পুলিশ নূরুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মর্জিনা খাতুন কান্নাকাটি করে বলেন, অহন আমি কই থাকবাম, কেডা আমারে একটা ঘর কইরা দিব? আল্লার দুনিয়াত আমি কই যাইবাম? আল্লা গো তুমি দেইক্ক।
গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ অনুকুল সরকার বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে মর্জিনার ভাই নূরুকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগটি এফআইআর করে আসামিকে ময়মনসিংহ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।