কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব তারাপাশা (বন্দের বাড়ী) এলাকায় মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের বাড়ি থেকে আজ দুপুরে মোছাঃ সীমা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সীমা আক্তারের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানিয়েছে সীমা আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিহতের বাবার কাছে, মোস্তফা নামে একজন ফোন করে জানায় দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য।
নিহতের বাবা আব্দুর রহিম জানান, বেলা সাড়ে এগারটার দিকে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তার মেয়ের মৃতদেহ মেয়ের স্বামীর ঘরে খাটের উপর শুয়ানো অবস্থায়।
সীমার বাবা জানায়, মোঃ মোজাম্মেল হোসেন (২১) এর সাথে ইসলামিয়া শরীয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ দেই। বিয়ের পর প্রায় তিন (০৩) মাস আমার মেয়ে আমাদের বাড়িতেই ছিল। অতঃপর ঘটনার দুই (০২) মাস পূর্বে আমার মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে উঠাইয়া দেই। নিহতের বাবা মোঃ আব্দুর রহিমের অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করা হতো। প্রায় সময়ই বিবাদীরা আমার মেয়েকে অপমানজনক কথাবার্তা বলিত।
আজ দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, বিবাদীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং নিহতের স্বামী মোঃ মোজাম্মেল হোসেন (২১) কে পুলিশ আটক করে থানা হেফাজতে রেখেছে।