বৃদ্ধা ফাতেমা খাতুনের স্বামী মারা গেছেন বহু বছর। ছেলে জোর করে জমি লিখে নেওয়ার পর থেকে ঠিক মতো দেখেন না ওই বৃদ্ধাকে। পুত্রবধূর কাজ ঠিকমতো করতে না পারায় শাশুড়িকে তিনিও খাবার দিতেন না। খাবার খেতে না পেয়ে রুগ্ণসার ফাতেমা ছুটে যান ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকারের কাছে। গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ফুলপুরে এমন ঘটনা ঘটে।
ফুলপুরের পশ্চিম সাহাপুর গ্রামের প্রয়াত সুরুজ আলীর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৭০)। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে মিরাজ আলীর আলাদা সংসার রয়েছে। প্রায় ৭ বছর আগে মার কাছ থেকে ১৪ শতক জমি লিখে নেন ছেলে মিরাজ। আগে মাকে দেখাশোনা করলেও জমি নেওয়ার পর একা হয়ে পড়েন মা। ছেলে ও পুত্রবধূর কথা মতো কাজ করতে না পারায় ফাতেমাকে ভাত দিতেন না তারা। অনেক কষ্টে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকারের দপ্তরে যান ফাতেমা। তার কাছে আহাজারি করে খাবার চান ওই বৃদ্ধা। তাৎক্ষণিকভাবে তার খাবারের ব্যবস্থা করেন ইউএনও। পরে সন্ধ্যায় বৃদ্ধাকে নিয়ে ছেলের বাড়ি যান। সেখানে ফাতেমাকে তিন বেলা খাবার দেওয়ার জন্য ছেলেকে রাজি করান শীতেষ চন্দ্র। এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে তাকে দেখাশোনা ও খাবার দেওয়ার আশ্বাস দেন মিরাজ। বৃদ্ধার জমি লিখে নেওয়ার বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন তিনি।
ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার জানান, ওই পরিবারকে সরকারি সহায়তাও দেওয়া হবে।