ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বন্যার স্রোতে ব্রিজের মাঝ বরাবর ভেঙে গেছে। এরপর অর্ধেক কংক্রিটের ব্রিজ আর বাকি অর্ধেকে বাঁশের সাঁকো জোড়া দিয়ে চলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যবস্থাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৩ বছর ধরে পারাপার হচ্ছেন জনসাধারণ।
জানা যায়, তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়ক সংলগ্ন তারাকান্দা উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের গির্দাপাড়া মাগুরজানি খালের উপর ওয়ার্ল্ড ভিশন নামে একটি সংস্থা ১৯৯৪ সালে লোহার খুঁটির উপর প্রায় ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করেন।
এতে প্রায় ১০০ মিটার দূরের গির্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ গির্দাপাড়া, লোনহালা গ্রামের জনসাধারণ যাতায়াতের সুবিধা হয়। ১৯৯৮ সালে বন্যার স্রোতে ব্রিজের অর্ধেক ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এতে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। বাঁশ ও লোহার সেতুঁটি মেরামত না করায় জীবনের ঝুকি নিয়ে শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ যাতায়াত করছেন।
ঢাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন মণ্ডল জানান, খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের চাহিদা দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।